বন্দর সংবাদদাতা
জুন মাসে বন্দর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় ধর্ষণ, মাদক, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা আংশকাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন কথা জানিয়েছে বন্দরের সচেতন মহল। তারা আরো জানিয়েছে, বন্দরে মাদকের ভয়াবহতা মারাত্মক আকার ধারণ করছে। কোন অবস্থাতে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারছে না স্থানীয় পঞ্চায়েত। থানা সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসে বিভিন্ন অপরাধে বন্দর থানায় মামলা দায়ের হয়েছে ৫১টি। এর মধ্যে হত্যা মামলা ১টি, অস্ত্র আইনে ১টি, অপহরণ মামলা ১টি, ধর্ষণ ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ১৩টি, চুরি ১টি, পুলিশ আক্রান্ত মামলা ১টি, মাদক মামলা ১১টি ও অন্য মামলা হয়েছে আরো ১৮টি। বন্দর থানা পুলিশ ১১টি মাদক মামলায় ১৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হয়েছে। জুন মাসে বন্দর থানায় রুজুকৃত ১১টি মাদক মামলায় পুলিশ ও র্যাব বন্দরেবিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১৫শ’ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১ হাজার ৬শ’ বোতল ফেনসিডিল, ৩২ কেজি ৫শ’ গ্রাম গাঁজা ও ৩ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও পুলিশ জুন মাসে বন্দর উপজেলা ও নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে ১ জন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীসহ জিআর মামলার ২৫ জন ও সিআর মামলার ২১ জন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে।
বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা জানান, জুন মাসে বন্দরে আইন-শৃঙ্খলা ভালো ছিল। বন্দরে ডাকাতি বা বড় রকমের কোন চুরি ঘটনা ঘটেনি। বন্দরে বেড়েছে মাদক ব্যবসায়ী সংখ্যা। জুন মাসে বন্দর থানায় ৫১টি মামলার মধ্যে ১১টি মামলা হয়েছে মাদকের। মাদক নিয়ন্ত্রণে সকলের সহযাগিতা প্রয়োজন।
গোপনীয়তা নীতি | এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।